প্রকৃতির জোম্বিরা

আপন মনে ঘুরে বেড়ানো নেংটি ইঁদুর। ছোট একটি প্রাণীর ছোট একটি মস্তিষ্ক। এই মস্তিষ্কে চলে সরল সহজ কিছু চিন্তা, তার একটি হলো আশেপাশে প্রাণঘাতী বিড়ালের অবস্থান বিষয়ে সতর্ক থাকা।

“আচ্ছা, কিছু রোম পড়ে আছে, শুঁকে দেখা যাক! ওহ শিট, এ-তো বিড়ালের গন্ধ! পালাই পালাই!”

“ওখানটা অমন চটচটে হয়ে আছে কেন? এঁটো খাবার দাবার আছে নাকি কিছু? একি, বেড়ালের পেচ্ছাব! ভাগো, ভাগো!”

এই গৎবাঁধা হিসাব নিকাশ এলোমেলো হয়ে যায় কদাচিৎ কোন কোন রোগে। এই সদা সতর্ক নেংটি ইঁদুরের বিড়ালকে আর ভয়ংকর মনে হয় না তখন, বিড়ালের পেচ্ছাবের গন্ধ তার নাকে লাগে সুধার মতো।

অন্য ইঁদুরেরা সন্ত্রস্ত হয়ে দেখে, এই “পাগল” ইঁদুর নির্বিকার হেঁটে বেড়ায় বিড়ালের উপস্থিতি উপেক্ষা করে। বেশিরভাগ সময় এই রোগগ্রস্ত ইঁদুরের মৃত্যু হয় বিড়ালের শিকার হয়ে।

ইউরিয়া ও তদসংশিষ্ট কিছু বিক্ষিপ্ত বয়ান

ক্লাস নাইন-টেনের কেমিস্ট্রি বইয়ের শেষদিকে ছিলো জৈব রসায়নের একটা অধ্যায়। সেখানে খটমটে নামের এক জার্মান বিজ্ঞানী, ফ্রেডরিক ভোলার-এর অ্যামোনিয়াম সায়ানেট থেকে ইউরিয়া বানানোর একটা ঘটনা ছিলো। ১৮২৮ সালের এই বিক্রিয়াটা ছিলো যুগান্তকারী। কারণ এই প্রথম মানুষ “প্রাণশক্তি”র সাহায্য ছাড়াই কোন জৈব যৌগ ল্যাবরেটরিতে খটর-মটর করে বানিয়ে ফেলে। এর আগে, ইউরিয়া (এবং আরও সকল জৈব যৌগ) শুধু জীবদেহেই তৈরি হতে পারে বলে ভাবতো মানুষ। ভোলারের এই কীর্তির পরে একে একে খুলতে থাকে জৈব রসায়নের রহস্যের দরজা।

তবে একটা জিজ্ঞাসার উত্তর আরও কঠিন (আমার ব্যক্তিগত একটি কৌতূহল), ১৮২৮ সালে মানুষ ল্যাবে প্রথম যে ইউরিয়া তৈরি করে; এই ইউরিয়া জীবদেহে প্রথম উৎপত্তি হয় কবে থেকে?