A Walk With the Planets

Most of us often do not appreciate the vast distances between the planets of the Solar system. In the pictures of the Solar system, we see the planets next to each other; and this image sticks in our minds.

In this video, I take a walk around Ruislip Lido, a lake just outside of London. On this walking trail, there are landmarks representing different worlds in the Solar system. It gives us an idea about the relative distances of the planets. During this walk around this beautiful place, I also talk about different facts and trivia about the planets.

FAR SIDE OF THE MOON: জোয়ার ভাটার ক্ষমতা

এই ঘোলাটে, কম রেজ্যুলেশনের ছবিটার ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনেক। এটা চাঁদের উল্টোপিঠের প্রথম ছবি। পৃথিবী থেকে আমরা সব সময় চাঁদের একটা পিঠই দেখতে পাই। কারণ চাঁদ পৃথিবীর চারদিকে একবার ঘুরে আসতে যে সময় নেয়, নিজেও নিজের অক্ষের চারদিকে একবার ঘুরে শেষ করে একই সময়ে (tidal locking, এটা নিয়ে বলছি একটু পরে)। তো সময়ের এই হিসাব নিকাশে পৃথিবীতে বসে মানুষ তাই চাঁদের একটামাত্র দিকই দেখতে পায়। চাঁদের এই দিককার অমসৃণ এবড়ো-থেবরো চেহারা, যা কিনা লক্ষ লক্ষ বছরের উল্কা আর গ্রহাণুর আঘাতে আঘাতে জর্জর, তার মাঝে নানা জনপদের মানুষ আপন কল্পনাশক্তিতে খুঁজে বের করেছে চড়কা কাটা বুড়ি, কেউ বা বের করেছে দেও-দানো। যদিওবা কলঙ্ক আছে প্রচুর, তবুও এই চাঁদের বুকেই প্রেমিকেরা বহুকাল ধরে খুঁজে পেয়েছে প্রিয়ার মুখ। কিন্তু এই সবই চাঁদের এই একটা পিঠেরই গল্প। চাঁদের যেই দিকটা পৃথিবী থেকে কখনওই দেখা যায় না, সেই নিঃসঙ্গ অর্ধটুকু কেমন, তা জানতে মানুষকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ১৯৫৯ সাল পর্যন্ত! (সঠিকভাবে বললে নিঃসঙ্গ ৪১%, চাঁদের কক্ষপথ উপবৃত্তাকার হওয়ায় মোটামুটি চাঁদের ৫৯% সময়ের আবর্তনে পৃথিবী থেকে কখনও না কখনও দেখা যায়)

২. 

চাঁদের সেই না দেখা উল্টোদিকের প্রথম এই ছবিটি তুলেছিলো একটি সোভিয়েত রোবট নভোযান, Luna 3, ১৯৫৯ সালের অক্টোবরে। Luna 3-এর আগে সোভিয়েতরা আরও দুইটি চন্দ্রাভিযান করেছিলো। Luna 1, চাঁদের উদ্দেশে উৎক্ষেপিত প্রথম নভোযান, উৎক্ষেপণের প্রোগ্রামিং জটিলতার কারণে যেটি চাঁদে পৌঁছাতে পারে নি (চাঁদের থেকে প্রায় ৬০০০ কিলোমিটার দূর দিয়ে পার হয়ে গিয়েছিলো। অবশ্য Luna 1 ছিলো ইতিহাসের প্রথম মহাকাশযান, যা পৃথিবীর অভিকর্ষ ক্ষেত্র অতিক্রম করে যেতে সক্ষম হয়)। এরপর সোভিয়েতদের পাঠানো Luna 2 নভোযানটি পৃথিবীর বাইরে কোথাও অবতরণ করা প্রথম নভোযান হিসাবে রেকর্ড করে। Luna 2 অবশ্য অবতরণ করে চাঁদের পৃথিবী থেকে দেখা যাওয়া চিরচেনা পৃষ্ঠে, চাঁদের মাটিতে অবতরণ করে পাওয়া তথ্যগুলো আমাদের এই চেনা দিকের অজস্র অজানা বিষয় উদঘাটন করে। অবশেষে আমাদের আজকের এই ছবির ফটোগ্রাফার, Luna 3 উৎক্ষেপণ করে সোভিয়েত বিজ্ঞানীরা, অক্টোবর ১৯৫৯ সালে। Luna 3 চাঁদের মাটিতে কখনো অবতরণ করে নি, চাঁদের চারদিকে পাক খেয়ে বেরিয়ে গেছে দূরে। Luna 3-র পাঠানো এই ছবিটি থেকেই মানুষ প্রথম দেখতে পায় চাঁদের না দেখা অংশটুকু। (ক্যামেরায় নয়, বরং চর্মচক্ষে প্রথমবার পর্যন্ত দেখার জন্য অবশ্য মানুষকে অপেক্ষা করতে হয় ডিসেম্বর ১৯৬৮, Apollo 8 মিশন পর্যন্ত) 

৩.
“… I don’t mean to deny a feeling of solitude. It is there, reinforced by the fact that radio contact with the Earth abruptly cuts off at the instant I disappear behind the moon, I am alone now, truly alone, and absolutely isolated from any known life. I am it. If a count were taken, the score would be three billion plus two over on the other side of the moon, and one plus God knows what on this side.” -Michael Collins

Michael Collins

Far Side of the Moon প্রথমবারের মতো প্রকটভাবে হাজির হয়েছিলো Apollo 11-এর ক্রু মাইকেল কলিন্সের সামনে। তার সফরসঙ্গী নীল আর্মস্ট্রং আর বাজ অলড্রিন ল্যুনার মড্যুল “ঈগল” নিয়ে যখন চাঁদে অবতরণ করছিলেন, তখন কমান্ড মড্যুল “কলম্বিয়া”-তে বসে চাঁদ প্রদক্ষিণ করছিলেন কলিন্স। কলম্বিয়া চাঁদের উল্টোপাশে যাওয়ার সাথে সাথেই পৃথিবী থেকে সমস্ত রেডিও যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায় চাঁদের প্রতিবন্ধকতায়। যোগাযোগ কেটে যায় “ঈগল”-এর সাথেও। মাইকেল কলিন্স, পৃথিবী থেকে, সমস্ত মানুষ থেকে ৩ লাখ ৮৫ হাজার কিলোমিটার দূরে, চাঁদের অচেনা চেহারাটা দেখেছিলেন প্রকৃতই একা।
(এক ইন্টার্ভিউতে কলিন্স বলেছিলেন, তিনি মিশনের শুরুতে দ্বিধায় ছিলেন যে যদি “ঈগল” চাঁদের বুকে ক্র্যাশ করে, তাঁর পক্ষে একা পৃথিবীতে ফিরে আসার মতো মানসিক শক্তি হবে, নাকি তিনি মহাকাশে আত্মহত্যা করে বসবেন? চাঁদের আড়ালে সব যোগাযোগ কেটে যাওয়ার পর তিনি শান্তভাবে সিদ্ধান্ত নেন, যাই ঘটুক না কেন, তিনি মিশন শেষ করে কলম্বিয়াকে নিয়ে পৃথিবীতে ফিরবেনই। আরেকটা বিষয়, অনেক বিজ্ঞানীই চান, চাঁদের উল্টো পিঠে খুব শক্তিশালী রেডিও টেলিস্কোপ বসাতে। পৃথিবীতে অথবা স্যাটেলাইটে করে স্থাপিত সব রেডিও টেলিস্কোপকে পৃথিবীর রেডিও তরঙ্গের ইন্টারফেরেন্স সহ্য করতে হয়। কিন্তু চাঁদের উল্টোপিঠে স্থাপিত কোন রেডিও টেলিস্কোপ চাঁদের ছায়ায় পৃথিবীর সব ইন্টারফেরেন্স থেকে থাকবে মুক্ত)

৪. Tidal Locking: একমুখো চাঁদ; হারিয়ে যাওয়া চাঁদ

আমরা জানি যে চাঁদের আকর্ষণে জোয়ার ভাটা হয়। পৃথিবীর যেই দিকটা চাঁদের দিকে মুখ করে থাকে, সেখানে চাঁদের আকর্ষণে পানি ফুলে উঠে (আশেপাশের থেকে পানি এসে) জোয়ার হয়, আর অনেক পানি জোয়ারের দিকে চলে যাওয়াতে সমকোণে থাকা জায়গাগুলোতে ভাটা হয়। চিন্তা করার মতো বিষয়, পৃথিবীর তুলনায় চাঁদ তো অনেক ছোট; এই চাঁদের প্রভাবে পৃথিবীতে জোয়ার ভাটার মতো বড় একটা ব্যাপার ঘটলে, পৃথিবীর প্রভাবে চাঁদে কী হয়? চাঁদেও পৃথিবীর প্রভাবে জোয়ার ভাটা হয়, তবে চাঁদে তো পানি নেই, চাঁদের জোয়ার ভাটা হয় চাঁদের মাটিতে (crust)। চাঁদ নিজের অক্ষের চারদিকে ঘুরতে থাকলে যেই দিক বরাবর পৃথিবীর দিকে থাকে, সে বরাবর একটু লম্বাটে আকার ধারণ করে (ভূমি জোয়ার?)। এখন চাঁদ যদি ঘুরতে থাকে, তাহলে এই জোয়ারও স্থান পরিবর্তন করতে থাকবে, জোয়ারের দিক হবে সব সময় পৃথিবীর দিকে। যেহেতু এই জোয়ার হচ্ছে চাঁদের ভূপৃষ্ঠে, তাই এই জোয়ারের স্থান পরিবর্তন চাঁদের উপর অচিন্তনীয় পরিমাণ বল (টর্ক) প্রয়োগ করবে। এই বিপুল পরিমাণে টর্কের ফলে ধীরে ধীরে চাঁদের গতিপথ এমন হয়ে যায়, যাতে এই জোয়ারকে মাটির মধ্য দিয়ে স্থান পরিবর্তন করতে না হয়। এটা সম্ভব হয়, যদি চাঁদের যে দিকে জোয়ার, সবসময় সেই পিঠটাই পৃথিবীর বরাবর থাকে। এই প্রক্রিয়াটাকে বলে Tidal locking। এভাবে জোয়ার ভাটার ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ায় আমাদের চাঁদটা হয়ে যায় একমুখো। এক রকম সাম্যাবস্থা।

কিন্তু পৃথিবী-চাঁদ সিস্টেমের প্রকৃত সাম্যাবস্থা হবে তখন, যখন চাঁদ এবং পৃথিবী দুটো বস্তুই একে অপরের সাথে Tidally locked হয়ে যাবে। কারণ পৃথিবীতেও জোয়ার ভাটার কারণে পৃথিবীর উপর টর্ক প্রযুক্ত হয়, এই টর্ক সর্বনিম্ন হবে, যখন পৃথিবীতেও জোয়ার ভাটা স্থান পরিবর্তন করবে না, কিছু স্থান হবে চির জোয়ারের, আর বাকি সব চির-ভাটা। এটা হবে তখনই, যখন পৃথিবীর আহ্নিক গতি চাঁদের পৃথিবীর চারদিকে একবার ঘুরে আসার সময়ের সাথে মিলে যাবে, অর্থাৎ পৃথিবীরও একটা নির্দিষ্ট পাশ সব সময় চাঁদের দিকে থাকবে। চাঁদের জন্মের পর থেকেই পৃথিবী আর চাঁদ খুব ধীরে ধীরে এই সাম্যাবস্থার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন পাথরগুলো গবেষণা করে বুঝা যায়, প্রায় চারশ কোটি বছর আগে পৃথিবীতে দিন ছিল ৬ ঘণ্টায়। জোয়ার ভাটার টর্কের প্রভাবে, আস্তে আস্তে চন্দ্রমাসের দৈর্ঘ্যের দিকে বাড়তে বাড়তে তা কোটি বছরে বেড়ে ২৪ ঘণ্টায় ঠেকেছে। এখন এই দিন বড় হওয়ার হার বছরে ১৫ মাইক্রো সেকেন্ড করে। ওদিকে সিস্টেমের সাম্যাবস্থায় আসতে, অর্থাৎ “পৃথিবীর আহ্নিক গতি = চাঁদের একটি পূর্ণ আবর্তন” অর্জন করতে চাঁদের আবর্তন কালও কমে আসছে চাঁদের জন্মের শুরু থেকেই। আর পৃথিবীর চারদিকে আবর্তনকাল কমে আসা মানে কম সময়ে কক্ষপথ অতিক্রম করতে গিয়ে চাঁদের গতিবেগ বেড়ে যাওয়া। আবার চাঁদের গতিবেগ ক্রমেই বেড়ে যাওয়ার কারণে কেন্দ্রবিমুখী বলের প্রভাবে চাঁদ পৃথিবী থেকে দূরে সরে যাচ্ছে ধীরে ধীরে (বর্তমানে সরে যাওয়ার হার বছরে ৪ সেন্টিমিটার করে)। এভাবে চলতে থাকলে সিস্টেমের সাম্যাবস্থায় আসার অনেক আগেই পৃথিবীর আকর্ষণ অতিক্রম করে আমাদের একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ হারিয়ে যাবে চিরতরে!

এ এক অদ্ভুত যোগসূত্র, আমরা সব সময় চাঁদের একটামাত্র দিক দেখতে পাই, ধীরে ধীরে দিনগুলি আমাদের বড় হয়ে যাচ্ছে, আর ক্রমে চাঁদটা চলে যাচ্ছে দূরে, আরও দূরে… আর এই সবকিছুর পেছনে একটাই মাত্র কারণ, জোয়ার ভাটার খেলা!